সার উৎপাদনের বড় দেশ - চীন

চীন বেশ কয়েক বছর ধরে রাসায়নিক সার উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষস্থানীয়।প্রকৃতপক্ষে, চীনের রাসায়নিক সার উৎপাদন বিশ্বের অনুপাতের জন্য দায়ী, এটিকে বিশ্বের বৃহত্তম রাসায়নিক সার উৎপাদনকারী করে তুলেছে।

কৃষিতে রাসায়নিক সারের গুরুত্বকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।রাসায়নিক সার মাটির উর্বরতা বজায় রাখতে এবং কৃষি ফলন বৃদ্ধির জন্য অপরিহার্য।2050 সালের মধ্যে বিশ্বের জনসংখ্যা 9.7 বিলিয়নে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে, খাদ্যের চাহিদা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

চীনের রাসায়নিক সার শিল্প গত কয়েক দশক ধরে দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে।সরকার এই শিল্পে প্রচুর বিনিয়োগ করেছে, এবং দেশের রাসায়নিক সার উৎপাদন দ্রুত সম্প্রসারণের সাক্ষী হয়েছে।চীনের রাসায়নিক সার উৎপাদন এখন বিশ্বের মোট উৎপাদনের এক-চতুর্থাংশ।

10

চীনের রাসায়নিক সার শিল্প বিভিন্ন কারণের দ্বারা গঠিত হয়েছে।প্রথমত, চীনের বিশাল জনসংখ্যা এবং সীমিত আবাদি জমি রয়েছে।ফলস্বরূপ, দেশটিকে তার জনগণকে খাওয়ানোর জন্য কৃষি উত্পাদনশীলতা সর্বাধিক করতে হবে।রাসায়নিক সার এই উদ্দেশ্য অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে।

দ্বিতীয়ত, চীনের দ্রুত শিল্পায়ন ও নগরায়নের ফলে কৃষি জমি নষ্ট হয়ে গেছে।রাসায়নিক সার কৃষি জমিকে আরও নিবিড়ভাবে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে, যার ফলে কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

রাসায়নিক সার শিল্পে চীনের আধিপত্য বিশ্ব বাণিজ্যে এর প্রভাব নিয়ে উদ্বেগের কারণ হয়েছে।দেশটির কম খরচে রাসায়নিক সার উৎপাদন অন্যান্য দেশের জন্য প্রতিযোগিতা করা কঠিন করে তুলেছে।ফলস্বরূপ, কিছু দেশ তাদের দেশীয় শিল্প সুরক্ষার জন্য চীনা সারের উপর শুল্ক আরোপ করেছে।

এই চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও, চীনের রাসায়নিক সার শিল্প আগামী বছরগুলিতে বাড়তে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে খাদ্যের চাহিদা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে এবং চীনের রাসায়নিক সার শিল্প এই চাহিদা মেটাতে ভালো অবস্থানে রয়েছে।গবেষণা ও উন্নয়নে দেশের অব্যাহত বিনিয়োগের ফলে আরও দক্ষ এবং পরিবেশ বান্ধব সার উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

উপসংহারে, চীনের রাসায়নিক সার উৎপাদন বিশ্বের অনুপাতের জন্য দায়ী, যা এটিকে বিশ্বের বৃহত্তম রাসায়নিক সার উৎপাদনকারী করে তোলে।শিল্প যখন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, তখন টেকসই এবং পরিবেশ-বান্ধব কৃষিতে চীনের প্রতিশ্রুতি, সেইসাথে গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ, শিল্পের ভবিষ্যতের জন্য ভাল ইঙ্গিত দেয়।


পোস্টের সময়: মে-০৪-২০২৩